Thursday, 19 December 2013

Cabinet approves Hijra identity

I am happy that my creation “Common Gender-The Film” has got chance to participate to bring this glorious success. 
Cabinet approves Hijra identity

Cabinet approves Hijra identity (I am happy that my creation “Common Gender-The Film” has got chance to participate to bring this glorious success. )

Cabinet approves Hijra identity

৫০ হাজার টাকায় বদলে যাবে চলচ্চিত্র শিল্প! | বিনোদন | banglamail24.com news fast

৫০ হাজার টাকায় বদলে যাবে চলচ্চিত্র শিল্প! | বিনোদন | banglamail24.com news fast

সিনেমা হল বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে

সিনেমা হল বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে
The Article has publised in Banglamail24.com on 19th of December, 2013
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzEyXzE4LTc2LTY3OTcx


সিনেমা বানাতে কত কষ্ট তা যে বানায় সে জানে, তার থেকেও বহুগুণে কষ্ট নির্মিত সিনেমা দর্শক পর্যন্ত পৌঁছানো। সিনেমা হিট হলে কৃতিত্ব পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সবার। আর হিট না হলে প্রযোজকের একার গচ্চা। কিন্তু পরিচালক তার পরের ছবির জন্য প্রযোজক ঠিকেই পেয়ে যাবেন। আর হিট আর ফ্লপ এর মাঝে সিনেমা মালিকের যে কি অবস্থা তা সরজমিনে না দেখলে কেউ অনুধাবন করতে পারবেন না।
 
সিনেমা হল চালানো আর হাতি পোষার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। পার্থক্য শুধু এতটুকুই- হাতি বিক্রি করে আপনি নিস্তার পাবেন কিন্তু শখের সিনেমা হল বিক্রি বা ভেঙে ফেলার চিন্তা– নিজের হাতে নিজের সাজানো সংসারে তছনছ করার সমান।
 
স্বপ্নের ফানুস উড়িয়ে, অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা-স্বপ্ন নিয়ে একজন মানুষ চলচ্চিত্র পরিচালনায় আসেন। একটি পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র তার কাছে সন্তান সমান। তাহলে একটি সিনেমা হল একটি মানুষের কোন স্বপ্নের ফসল একবার ভেবে দেখেছেন কি? আজ চলচ্চিত্রের বেহাল দশার জন্য কারা কারা দায়ী জানতে চাই না, বলতেও চাই না। আর যাই হোক সিনেমা হল মালিক দায়ী নন।
 
পরিচালকরা অশ্লিল চলচ্চিত্র বানাতে পারবেন, সেন্সর বোর্ড সেটা সেন্সর দিতে পারবে। প্রশাসন চোখ বন্ধ করে বসে থাকবে আর হল মালিক নিজের পেট বাঁচানোর জন্য সেই চলচ্চিত্র প্রদর্শন করলে– সব দোষ তার ঘাড়ে? সোজা কথা সিনেমা হল না বাঁচলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র বাঁচবে না!
 
ভিনদেশী চলচ্চিত্র চালিয়েও যদি সিনেমা হলগুলোকে বাঁচানো যায় তবে দেরি না করাই ভালো। এতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রতিযোগিতা আসবে। তাছাড়া আমদানির এই আইন কোনো ‘ফরযে আইন’ নয় যে প্রয়োজনে এর পরিবর্তন-পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা যাবে না।
 
৩০০ চলচ্চিত্র পরিচালকের শখ/পেশার থেকে বহুগুণে বড় অবশিষ্ট ৫০০ সিনেমা হল বাঁচানো, তার থেকেও বড় কথা ৭ কোটি মানুষের বিনোদন।
 
ব্যবসা মানেই হিসাব-নিকাষ খুব স্বাভাবিক। নিকটবর্তী ব্যবসা- যেমন মুদি দোকান, মোবাইলের দোকান, ডিভিডির দোকান,  ইত্যাদি খাতা ও কলমে হিসাব করলেই চলে- সফটওয়্যার লাগে না! কিন্তু দূরবর্তী বা অন্যের নিয়ন্ত্রিত কিংবা বহুজনের নিয়ন্ত্রিত ব্যবসার জন্যই সফটওয়্যারের ব্যবহার। আর যেই ব্যবসায় সফটওয়্যারের ব্যবহার অর্থাৎ সুনিপুণ হিসাবের অবস্থান। সেখানে লগ্নি করতে লগ্নিকারক বা ব্যাংক মুখিয়ে থাকে। অথচ বাংলাদেশে চলচ্চিত্র ব্যবসায় (সিনেমা হলের মাধ্যমে) ৩ ঘণ্টা পরপর সুনিশ্চিত ব্যবসা জেনেও লগ্নিকারকরা বা ব্যাংক আগ্রহী হয় না। কেন? বিরাট প্রশ্ন তাই নয় কি? চিন্তার বিষয়!
 
কিন্তু মাত্র ৫০ হাজার টাকার (এককালীন) বিনিময়ে সিনেমা হলসহ সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হতে পারে এবং লগ্নিকারকরা বা ব্যাংক চলচ্চিত্রে আগ্রহী হয়ে উঠবে। মূলধারার লগ্নিকারক অর্থাৎ সবার অংশগ্রহণের সুযোগ ছাড়া চলচ্চিত্র স্বকীয়তা পাবে না- অসম্ভব! উদাহরণ: ভারত।
 
বর্তমান চলচ্চিত্র ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে হল ম্যানেজার এবং এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। তারা যা হিসাব দেবে প্রযোজককে তাই মানতে হবে। হিসাব চাইবেন? ঠিকই হিসাব বুঝিয়ে দেবে। কিন্তু ভেরিফিকেশনের কোনো সঠিক ব্যবস্থা নেই। আপনাকে প্রত্যেকটি শো’র হিসেব বুঝিয়ে দিয়ে দেবে। কিন্তু ৬০০ টিকেটের স্থলে ৪০০ টিকেট বিক্রি হয়েছে হিসেব দিলে কি করে বিশ্বাস করবেন?
 
প্রত্যেকটি হলে নিজে গিয়ে দর্শকদের মাথা গুনবেন? ম্যানেজারদের নিয়োগ করা হল এজেন্টদের উপর ১০০% ভরসা করে ঘুমিয়ে থাকবেন? কি করবেন? একটা হযবরল অবস্থা! এরকম সিস্টেমলেস ইন্ডাস্ট্রিতে প্রফেশনাল ইনভেস্টররা কেন ইনভেস্ট করবে?
 
এখন আসি মূল কথায়, কীভাবে এই প্রাচীন ব্যবস্থা পদ্ধতি থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি? আমার ধারণা, মাত্র ৫০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে চলচ্চিত্র শিল্পকে বিশ্বাসের জায়গায় দাঁড় করানো সম্ভব।
 
এই ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কি হবে? আসুন জানি- প্রথমে ২৫ হাজার টাকায় আপনাকে একটা কম্পিউটার কিনতে হবে। আর বাকি ২৫ হাজার টাকা দিয়ে একটা টিকেটিং ও হিসাব রক্ষক সফটওয়্যার, একটি ইন্টারনেট মডেম আর একটি প্রিন্টার (টিকেট প্রিন্ট করার জন্য) কিনলেই আপনার সমস্ত ঝামেলা শেষ।
 
এ পদ্ধতিতে টিকেট প্রিন্ট করা মাত্রই প্রযোজক, পরিচালক, আর পরিবেশকরা জানতে পারবেন কোন হলে কতো টাকা সেল হচ্ছে। এভাবেই আবার বক্স অফিস স্টাবলিস্ট হবে।
প্রযুক্তির এ যুগে আমরা পিছিয়ে থাকবো কেন?
 
লেখক: নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার